ক্রীড়া ডেস্ক
কাতার বিশ্বকাপ ২০২২ এ ছোট দল গুলোর উত্থান ছিল চোঁখে পড়ার মতো। বিশেষ করে মরক্কো তো ইতিহাস রচনা করেছে। সেমি ফাইনালে হেরেছে কিন্তু দুই বার বিশ্বকাপে জেতা ফ্রান্সকে কাঁপিয়ে দিয়েছে। তবে ক্রোয়েশিয়া গত বিশ্বকাপের রানার্স-আপ, তাই কাতারে তাদের সেমি-ফাইনাল খেলাটা অতোটাও অবাক করার মতো নয়। কিন্তু ব্রাজিলকে হারিয়ে তারা সেমি-ফাইনালে উঠবে, সেটিও হয়তো ভাবেননি কেউ। আর মরক্কো তো গড়ে বসেছে ইতিহাস। সেমি হেরে গেলেও এবার লড়বে তৃতীয় স্থানের জন্য। কাল মরক্কো-ক্রোশিয়া খেলবে রাত ৯টায়।
বিশ্বকাপ শুরুর আগে যদি কেউ বলতো, ক্রোয়েশিয়া এবং মরক্কো সেমি-ফাইনাল খেলবে, তাকে নিশ্চয়ই পাগল বলে আখ্যায়িত করা হত। কিন্তু সেই পাগলামি ঘটনাই ঘটেছে কাতার বিশ্বকাপে। ব্রাজিল, স্পেন, পর্তুগালের মতো দলকে পেছনে ফেলে সেমি-ফাইনাল খেলেছে আফ্রিকান দেশ মরক্কো এবং গত বিশ্বকাপের রানার্স-আপ ক্রোয়েশিয়া। যদিও দুই দলই সেমিতে হেরেছে।
নিজেদের খেলা ৬ষ্ঠ বিশ্বকাপে তৃতীয়বারের মতো সেমি-ফাইনালে পৌঁছে ক্রোয়েশিয়া বিদায়। পরপর দুই বিশ্বকাপে সেমি-ফাইনাল খেলা অনেক বড় দলের জন্যই গৌরবের ব্যাপার, সেখানে মাত্র ৩৮ লক্ষ জনসংখ্যার দেশ ক্রোয়েশিয়ার জন্য যা অসামান্য অর্জনই বটে।
মরক্কোর বেলায় তাদের অর্জনটা ক্রোয়েশিয়ার থেকেও বেশি। প্রথম আফ্রিকান দল হিসেবে বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালে উঠার মাইলফলক যে শুধুই তাদের। বিশ্ব ফুটবলের অনেক বড় বড় তারকা উঠে এসেছেন আফ্রিকা মহাদেশ থেকে। কিন্তু কখনোই নিজেদের দেশকে কোয়ার্টার-ফাইনালের গন্ডি পার করে নিয়ে যেতে পারেননি তারা। মরক্কো সেটিই করে দেখিয়েছে।
সেমি-ফাইনালে হেরে গেলেও এখনই বাড়ি ফিরে যাচ্ছে না ক্রোয়েশিয়া এবং মরক্কো। তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচ খেলা বাকি এখনও। যেখানে দুই দল মুখোমুখি হবে অন্তত একটি মেডেল হলেও নিয়ে যেতে।
গত বিশ্বকাপেই রানার্স-আপ হওয়া ক্রোয়েশিয়া জিতলে এটি হবে তাদের দ্বিতীয়বারের মতো তৃতীয় স্থান অর্জন। ইতোমধ্যে ইতিহাস গড়া মরক্কো চাইবে চ্যাম্পিয়ন এবং রানার্স-আপের পরের স্থানেই যেন তাদের নাম খোদাই হয়।
যারাই জিতুক না কেন, দুই দলের উত্থানের গল্পটা হয়ে থাকবে দারুণ অনুপ্রেরণার উৎস। তবে লড়াইটা সহজ হবে না। কারণ গ্রুপ পর্বে এ দুই দল গোল শূণ্য লড়াইটা বিশ্ব দেখেছে।
সূত্র : ফিফা